আমরা যখন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোতে ফটো শেয়ার করি তখন সেটা আপলোড এর পর পুরোপুরি ভিন্ন রকম দেখায় এবং সেটার কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রূপে লস হয়ে যায়। এটার পিছনে একমাত্র কারণ হলো ফটো কম্প্রেশন। সোশাল মিডিয়া সাইট বা অ্যাপগুলো তাদের স্টোরেজ এর জায়গা বাঁচানোর জন্য এই কাজ করে। আপনি একবার ভেবে দেখুন তারা যদি ফটোগুলো কম্প্রেস করে সাইজে ছোট না করতো তাহলে প্রতিদিন যে পরিমাণে ফটো আপলোড হয় এতে করে তাদের কি পরিমান স্টোরেজ লাগতো। আর এই জন্যই তারা ফটো গুলো অনেক বেশি বা বলতে পারেন আল্ট্রা পরিমাণে কম্প্রেস করে। যদিও এই কম্প্রেশন বাইপাস করার কোনো অপশন নেই। তারপরও এই আর্টিকেল এ আমি কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো যাতে করে আপনারা অনলাইনে হাই কোয়ালিটিতে ফটো হোস্ট অথবা শেয়ার করতে পারেন। তাহলে চলুন ঝাপিয়ে পড়া যাক।


How To Host High Quality Photo Online? Share High Quality Photo Online

গুগল ফটোস


অনলাইনে হাই কোয়ালিটিতে ফটো হোস্ট করার জন্য গুগল ফটোস সেরা সমাধান হতে পারে। গুগল ফটোস একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট থাকা ডিভাইসগুলোতে আপলোড করা ইমেজগুলো অটোমেটিক সিঙ্ক করে। আপনাকে জাস্ট ইমেজ প্রাইভেসি পাবলিক করে দিতে হবে। গুগল ফটোস ফটো হোস্ট করার জন্য দুটো অপশন দিয়ে থাকে।

  1. হাই কোয়ালিটি: হাই কোয়ালিটি অপশন থেকে ইমেজ হোস্ট করলে আপনি আনলিমিটেড স্টোরেজ পাবেন। এতে ইমেজের কোয়ালিটি লস ছাড়াই যতটুকু কম্প্রেস করা সম্ভব ততটুকু কম্প্রেস করে। 
  2. অরজিনাল সাইজ: অরজিনাল সাইজ অপশন থেকে ইমেজ হোস্ট করলে আপনি প্রতিটি একাউন্ট এর জন্য 12 গিগাবাইট স্টোরেজ পাবেন। আর এতে ইমেজ অরজিনাল সাইজে রাখা হয়, কোনো কম্প্রেস করা হয় না।

ইমেইল


আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে কম্প্রেস ছাড়াই কোনো ইমেজ ডকুমেন্ট শেয়ার করতে চাইলে ইমেইল অনেক সহজ একটি সমাধান। ইমেইল এ শেয়ার করা কোনো ফাইল কোনো প্রকার কম্প্রেস করা হয় না। সো আপনি পার্সোনালি কোনো ইমেজ কারো সাথে কম্প্রেস ছাড়াই শেয়ার করতে চাইলে ইমেইল অপশনটি বেঁচে নিতে পারেন।

ক্লাউড স্টোরেজ


শুধু ইমেজ না অন্য যে কোনো ধরনের ফাইল হোস্ট করার জন্য ক্লাউড স্টোরেজ অনেক ভালো একটি সমাধান। বর্তমানে অনেক ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস আছে। ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসগুলোর মধ্যে ফ্রী সার্ভিস হিসেবে গুগল ড্রাইভ অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও সিকিউর ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে ড্রপবক্স অনেক জনপ্রিয় তবে ড্রপবক্স ফ্রীতে শুধু মাত্র 2 গিগাবাইট স্টোরেজ প্রদান করে। এর থেকে বেশি স্টোরেজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। ক্লাউড স্টোরেজ থেকে কোনো ফাইল শেয়ার করতে হলে আপনাকে প্রথমে ফাইল আপলোড করে সেটা পাবলিক করে তার পর ফাইলের লিঙ্ক কপি করে শেয়ার করতে হবে।

png তে কনভার্ট করুন


আপনি যদি সরাসরি ইমেজ সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করতে চান তাহলে ইমেজের কোয়ালিটি ঠিক রাখার জন্য আপনার উচিত আপলোড করার আগে ইমেজ টা png তে কনভার্ট করে নেওয়া। png এমনিতেই একটি হাই কম্প্রেসিং ফরম্যাট। ফলে সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করার পর ইমেজ কম্প্রেস করা হলেও অনেক কম পরিমাণে কম্প্রেস হয়। png তে ইমেজ কনভার্ট করার জন্য অনেক অনলাইন টুল আছে। সো আপনি অনলাইনেই কোনো ইমেজ png তে কনভার্ট করতে পারেন।

আর্কাইভ করে শেয়ার করুন


কিছু কিছু প্লাটফর্মে যেমন WhatsApp এ ইমেজ এবং ভিডিও বাদেও অন্যান্য ফাইল শেয়ার করা যায়। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে আপনি ইমেজগুলো একটি আর্কাইভ করা ফাইল যেমন জিপ অথবা রার আকারে শেয়ার করতে পারেন। এতে ইমেজ কম্প্রেস এর কোনো সম্ভাবনা নেই।